রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় সওজের নতুন ৪ লেন সড়ক হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, জুন ২৭, ২০২৪

খুলনায় সওজের নতুন ৪ লেন সড়ক হচ্ছে
আবু হেনা মুক্তিঃ
খুলনায় সওজের আওতায় নতুন ৪ লেন সড়ক নির্মাণ হচ্ছে। শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় - বঙ্গবন্ধু ইকোনমিক জোন সংযোগ প্রকল্পটি নিয়ে খুলনা বাসির মধ্যে ব্যাপক আশার সঞ্চার হয়েছে। খুলনা উন্নয়ন বিভিন্ন সংগঠন ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ ব্যাপারে অভিনন্দন  জানিয়েছে সরকার এবং বাস্তবায়নকারী প্রকৌশলী সংস্থাকে। 
একটি বিশেষ সূত্র মতে, শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়-বঙ্গবন্ধু ইকোনমিক জোন সংযোগ সড়ক (এন-৭১৪) শীর্ষক প্রকল্পটির জনক হচ্ছে খুলনা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী  আনিসুজ্জামান মাসুদ। সময়োপযোগী একটি বাস্তব মুখী প্রকল্প গ্রহণ করায় তাকেও অভিনন্দন জানিয়েছে বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। 

খুলনা সিটি বাইপাস সড়ক (এন-৭০৯) থেকে “অনুমোদিত শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রস্তাবিত বটিয়াঘাটা অর্থনৈতিক জোন" সংযোগ সড়ক (এন-৭১৪)প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৬৩ কোটি টাকা।প্রকল্পটির দৈর্ঘ্য হচ্ছে প্রায় ১১.৩৫ কিঃ মিঃ। ৪ টি কমন ডাক্ট সহ প্রকল্পটিতে থাকছে ১২ কিঃমিঃ ৪ লেন সড়ক নির্মাণ, ২ টি সেতু ও ১১ টি কালভার্ট নির্মাণ, সড়ক বিভাজক, রক্ষাপ্রদ কাজ, সাইন-সিগন্যাল রোড মার্কিং, সৌন্দর্যবর্ধন ও বৃক্ষ রোপন কাজ। 
প্রকল্পটি শুরু হচ্ছে খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা জাতীয় মহাসড়কের (এন-৭৬০) ৫ম কিলোমিটার (ঠিকরাবদ্ধ) হতে শুরু হয়ে গল্লামারী-বটিয়াঘাটা- দাকোপ-নলিয়ান ফরেষ্ট সড়কের (জেড-৭৬০৬) ২য় কিলোমিটার (দারোগার ভিটা) হয়ে খুলনা শহর বাইপাস সড়কের ১৫তম কিলোমিটারে (এন-৭০তুই আয় ৯) (গুলজান সিটি) নামক স্থান পর্যন্ত। 
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে ডিও লেটার দিয়েছেন  খুলনা সদর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বঙ্গবন্ধু ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল।
পত্রে তিনি উল্লেখ করেন আমার নির্বাচনী এলাকার মধ্যে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের খুলনা সিটি বাইপাস সড়ক অবস্থিত। উক্ত জাতীয় মহাসড়কের মাধ্যমে খান জাহান আলী রূপসা সেতু হবে বিভাগীয় শহর খুলনার সাথে মংলা সমুদ্র বন্দর বেনাপোল ভোমরা স্থল বন্দর তথা সমগ্র বাংলাদেশের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। অত্র অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জাতীয় মহাসড়কটির গুরুত্ব অপরিসীম। উক্ত জাতীয় মহাসড়কের লবণচোরা  থানার সামনে দিয়ে একটা সড়ক খুলনা মঙ্গলা রেল লাইন প্রকল্পের দিকে চলে গেছে। সড়কটির এক প্রান্তে অনুমোদিত শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্য প্রান্তে প্রস্তাবিত বটিয়াঘাটা অর্থনৈতিক জোন অঞ্চল অবস্থিত। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ কিলোমিটার। এই সড়কটির এক পাশে গল্লামারি বটিয়াঘাটা নলিয়ান ফরেস্ট জেলা মহাসড়ক হয়ে খুলনা চুকনগর সাতক্ষীরা জাতীয় মহাসড়কের সাথে মিলিত হবে। দাকোপ।সড়কটি র‍্যাব   ৬ এর প্রধান কার্যালয়ের সামনে দিয়ে সিটি কর্পোরেশন এর রুপসা রিভার ফ্রন্ট রোড এর সাথে মিলিত হবে। শেখ হাসিনা  মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এক মেয়াদে ১৮৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হওয়ায় শীগগিরি জমি অধিগ্রহণ এর কাজ শুরু হবে। এবং এর অপর পাশেই  প্রস্তাবিত  বটিয়াঘাটা অর্থনৈতিক জোন এর   অবস্হান।পাশাপাশি এখানে প্রস্তাবিত ডেন্টাল কলেজ, নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়,প্রস্তাবিত শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সহ বিভিন্ন স্থাপনা বিদ্যমান হওয়ায় সড়কটি যথার্থ মানে উন্নতিকরণ করা প্রয়োজন। উল্লেখ্য ইতোমধ্যে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগ হতে উক্ত সড়কের ফিজিবিলিটি স্টাডি সমম্পন্ন করা হয়েছে এবং প্রকল্পের মধ্যে খুলনা মংলা রেলওয়ে ব্রিজ নির্মাণের জন্য হাইড্রলজি ও মরফোলজি কাজ প্রায় শেষের পথে।
বাংলাদেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি লায়ন মোল্লা শামীম শিবলী বলেন,প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এটি হবে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এজন্য সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান মাসুদকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কারণ তিনি সময়োপযোগী একটি প্রকল্প হাতে নিয়ে সরকারকে উপহার দিয়েছেন। 
বাংলাদেশ পরিবেশ ও  মানবাধিকার বাস্তবায়ন সোসাইটি খুলনা বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক আজগর হোসেন বলেন খুলনা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুর রহমান মাসুদএই প্রকল্পটি খুলনা বাসিকে উপহার দিয়ে খুলনা অঞ্চল কে ব্যাপকভাবে সমৃদ্ধ করলেন। এই অবদান কখনোই ভুলবার নয়। আর বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র ও খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এর অবদান মানুষ মনে রাখবে। 
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিটের সভাপতি অধ্যাপক এনায়েত আলী বিশ্বাস বলেন,প্রকল্পটি খুলনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। আর এজন্য বঙ্গবন্ধু ভ্রাতস্পুত্র  শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল এমপি,সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুর রহমান মাসুদকে অভিনন্দন জানাই। 
মানবাধিকার জোটের খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী এডভোকেট জিএম কামরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম অনুরূপ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।
0 Comments